উঃ--একটা বিষয় যদি আমরা গভীরভাবে চিন্তা করি যে,এই জড়জগতে কেউ টাকা পয়সা নিয়ে দুশ্চিন্তা,কারো বিবাহ নিয়ে দুশ্চিন্তা, কারো ছেলে-মেয়ে হচ্ছে না বা কারো ছেলে-মেয়ে হয়ে গেছে সেটা নিয়ে দুশ্চিন্তা..
কেউ গরিব সেইটা নিয়ে দুশ্চিন্তা, কেউ বড়লোক হয়েছে,টাকাগুলো কোথায় রাখবে সেটা নিয়ে দুশ্চিন্তা,.কেউ পরীক্ষায় পাস হচ্ছে না সেটা নিয়ে দুশ্চিন্তা কারো দুশ্চিন্তা ঘরবাড়ি আছে তা নিয়ে..এখন বলো এই জগতে কার দুশ্চিন্তা নেই..? যারা জগতে অত্যন্ত উন্নত স্তরের ভক্ত তার মনে কোন দুশ্চিন্তা নেই..বাকি আমাদের সবার মনে দুশ্চিন্তায় আছে.. এখন আমরা কি চাই এ দুশ্চিন্তা থেকে মুক্ত হতে সেটাই প্রশ্ন..? যারা অর্থনৈতিক দিক দিয়ে দুর্বল তারা কি চায় ধনী লোক হতে,নিজেকে জিজ্ঞেস করো.. যাদের ঘরবাড়ি নেই তারা কি চায় তাদের একটা সুন্দর ঘরবাড়ি থাক,যারা রোগাগ্রস্ত তারা কি চায় আমাদের সত্যিকারের কোনদিন রোগ না হোক,..? যদি আমাদের মানসিকতা থাকে যে আমরা এমন একটি পরিবেশ চাই,পরিস্থিতি চাই, যেখানে আমাদের অর্থনৈতিক দিক দিয়ে কোন দুশ্চিন্তা থাকবে না, ঘরবাড়ি,পাড়া-প্রতিবেশি,রোগাগ্রস্থ,জন্ম-মৃত্যু, জরা -ব্যাধি এসব নিয়ে কোনো দুশ্চিন্তা থাকবে না আমরা কেবল আনন্দ আর আনন্দ চাই.. যদি আমাদের এই মানসিকতা থাকে, যদি সেই স্তরে উঠতে চাই,তাহলে প্রভুপাদ বলেছেন," হরিনাম ছাড়া আমার কাছে নিরাময়ের আর কোনো বিকল্প পথ নেই".. তোমার যদি টাকা পয়সা নিয়ে চিন্তা হয় তুমি তখন পরিশ্রম করো, বা রোজগার করো..বা হয়তো পড়াশোনা করে একটা চাকরি করার চেষ্টা করো বা কোন কাজ করে, কিছু একটা করে উন্নতি সাধন করার চেষ্টা করো,তুমি তো খাটছো,পরিশ্রম করছো..কিন্তু কেন জন্ম-জন্মান্তর ধরে এই' পরিশ্রম করতে চাচ্ছ..? এই জন্ম পরিশ্রম করবে আবার পরের জন্ম পরিশ্রম করবে,.. প্রত্যেকটা জন্মে আমাদের দুশ্চিন্তা থাকবে,একদম জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত..আবার জন্ম নিবে, আবার দুশ্চিন্তা ..মার্তগর্ভে সেইখানেও অনেক দুঃখ-কষ্ট.. তাহলে আমাকে চিন্তা করতে হবে সত্যিকারের আমরা,এই দুশ্চিন্তা থেকে মুক্ত হতে চাই কিনা..?যদি সত্যিকারের মন থেকে জিজ্ঞেস করি তাহলে উত্তর আসবে আমরা কিন্তু চাই না..মুখে বলি কিন্তু আমরা আসলে চাইনা.. আমরা অভ্যস্ত হয়ে গেছি এইসব দুঃখ-কস্ট,দুশ্চিন্তায়.. কিন্তু কোনো বুদ্ধিমান ব্যক্তি যদি সত্যিকারের হৃদয় থেকে সমস্ত দুশ্চিন্তা থেকে মুক্তি পেতে চায় তাহলে কৃষ্ণের চরনাবিন্দের ভজন-সেবা করতে হবে..সত্যিকারের যদি এইসব থেকে মুক্ত হতে চাও তবে নিজেকে কৃষ্ণচরণে সমর্পণ করো.. তুমি টাকা-পয়সা রোজগারের জন্য অনেক দুশ্চিন্তা করছো,এমনকি জপের সময়েও করছো..ধরো ১০ বছর খেটে ১কোটি টাকা ইনকাম করলে,তোমার সমস্ত সমস্যার কি সমাধান হবে?তারপর যদি কঠিন রোগ হয়,তোমার যদি মৃত্যু হয়.,বা যদি কোন আত্মীয়-স্বজন মারা যায়..?তুমি কি টাকা পয়সা দিয়ে সবকিছু আটকে দিবে..?বড় চিন্তা করো,.বড় ভাবতে শেখো.. আমাদের মানসিকতা একদম এমন ছোট হয়ে..বড় ভাবতে পারিনা আমরা..শুধু আজকেরটা ভাবি...শুধু এই দেহ নিয়ে ভাবি..আগামী জীবন তা নিয়ে কোনো দুশ্চিন্তা নেই আমাদের..?কেন আমরা এই মানব জীবনে,সমস্ত সমস্যার সমাধান করবো না..? কেন আমরা গাধার মত দিন-রাত পরিশ্রম করব..? শুধু আহার নিদ্রা ভয় মৈথুনের জন্য কেন..? মানব জীবনের আর বড় কোন উদ্দেশ্য নেই..?ক প্রভুপাদ অনেক উদাহরণ দিয়েছেন এই বিষয়ে..তুমি দেখবে জাগতিক কাজকর্মের জন্য মানুষ অত্যধিক প্রচেষ্টা করে,সেইটা একদম নিজের বিপদ ডেকে আনা...জাগতিক উন্নতিকল্পে অত্যাধিক প্রচেষ্টা এই জীবনকে নষ্ট করবে..পরের জীবন নষ্ট করবে... একটা জিনিস চিন্তা করো,যে মানুষ শুধু অর্থনৈতিক উন্নতির জন্য দিনরাত পরিশ্রম করে, সে তো যে অর্থ উপার্জন করেছে তা তো ভোগ করতে পারছে না..সে ভোগ করতে পারবে না কারন তার চিন্তা শুধু আয় করা..সত্যিকারের তুমি যদি জীবনের পর জীবন, জন্মের পর জন্ম, এইভাবে সংগ্রাম করতে না চাও তাহলে ভালো ভক্ত হও. না হলে এই জনমে আমরা পরিশ্রম করছি টাকা-পয়সার জন্য, চিন্তা ভাবনা করছি, পরের জীবনে আবার চিন্তা ভাবনা করতে হবে... ভালো করে হরিনাম করো..প্রকৃত অর্থে সমস্ত সমস্যার সমাধান হবে..আর শুধু যদি আমরা অর্থনৈতিক উন্নতির জন্য এই ভাবে এগোতে থাকি প্রভুপাদ বলেছেন,পরের জীবনে হয়তো অন্য কোন পশুর জীবন ধারণ করতে হবে... কারন মানব জীবন আমরা সঠিকভাবে ব্যবহার করছি না. "ভালো ভক্ত হও" আর তোমার কর্মে যেটা আছে স্বাভাবিক প্রচেষ্টার ফলে তা হবে., তুমি দেখবে যে ভক্তরা অলস না.. এরকম না যে তারা চাকরি করে না বা ব্যবসা করে না কিন্তু কেবলমাত্র অর্থনৈতিক দিক দিয়ে উন্নতির জন্য তারা পাগল না..জীবনে একটা সামঞ্জস্য নিয়ে আসতে হবে.. মানব জীবনে সামঞ্জস্য যদি আমরা না নিয়ে আসি তাহলে কোন জীবনে নিয়ে আসবো সামঞ্জস্য..? আমি আবার বলছি এরকম না যে ভক্তরা ব্যবসা করে না চাকরি করে না,কাজ করে না এরকম না.. কিন্তু সবকিছুর একটা সীমা আছে..পাগল হয়ে যায় না তারা..কেউ কেউ আছে যাদের মঙ্গলআরতিতে উঠার সময় নেই,জপ করার সময় নেই,শাস্ত্র অধ্যায়ন করার সময় নেই,মন্দিরে যাওয়ার সময় নেই,তারা শুধু ব্যস্ত..তারপর কি হবে ? ৭০,৮০,৯০ বছর পরে কি হবে?আবার পুনরায় জন্ম.? আবার জীবন,কান্না দিয়ে শুরু হবে কান্না দিয়ে শেষ হবে আবার গাধার মত পরিশ্রম আবার কান্না দিয়ে জন্ম আবার কান্না দিয়ে শেষ আবার চাকরির জন্য খুজবে.,আবার মৃত্যু আবার জন্ম. তাই সত্তিকারের প্রকৃত অর্থে যদি সমস্যার সমাধান চাও "ভালো ভক্ত হও"..কেউ যদি মন্দিরের বাইরে থেকে অর্থনৈতিক উন্নতির চেষ্টা করে,তা যেন সীমার মধ্যে থাকে,এমন যেন না হয়,জপের সময়ও অর্থনৈতিক উন্নতির চিন্তা মনে আসছে.. -শ্রীপাদ নাড়ুগোপাল প্রভু (জপক্লাস,০৯-১১-২০২০)#Naru_Gopal_das
#iskcon #
হরেকৃষ্ণ,, হরিবোল..
Tags:
প্রশ্ন উত্তর
Horibol
উত্তরমুছুনহরি বোল হরে কৃষ্ণ 🌹🚩
উত্তরমুছুন