শ্রীশ্রীগুরু বন্দনা।
আশ্রয় করিয়া বন্দো শ্রীগুরু চরণ।
যাহা হৈতে মিলে ভাই কৃষ্ণ প্রেমধনা জীবের নিস্তার লাগি নন্দ সুত হরি।।
ভুবনে প্রকাশ হন গুরুরূপ ধরি ॥
মহিমায় গুরুকৃষ্ণ এক করি জান।।
গুরু আজ্ঞা হৃদে সব সত্য করি মান ॥ সত্যজ্ঞানে গুরু বাক্যে যাহার বিশ্বাস।
অবশ্য তাহার হয় ব্রজভূমে বাস ॥
যার প্রতি গুরুদেব হন পরসন্ন।
কোন বিগ্নে সেহ নাহি হয় অবসন্ন ॥
কষ্ণ রুষ্ট হলে গুরু রাখিবারে পারে।
গুরু রুষ্ট হলে কৃষ্ণ রাখিবারে নারে ॥
গুরু মাতা গুরু পিতা গুরু হন পতি।
| গুরু বিনা এ সংসারে নাহি আর গতি ॥
গুরুকে মনুষ্যজ্ঞান না কর কখন। |
গুরু নিন্দা কভু কর্ণে না কর শ্রবণ ॥
গুরু নিন্দুকের মুখ কভু না হেরিবে।।
যথা হয় গুরু নিন্দা তথা না যাইবে ॥
গুরুর বিক্রিয়া যদি দেখহ কখন।।
তথাপি অবজ্ঞা নাহি কর কদাচন ॥
গুরু পাদপদ্মে রহে যার নিষ্ঠা ভক্তি।
জগত তারিতে সেই ধরে মহাশক্তি ॥
হেন গুরু পাদ পদ্ম করহ বন্দনা।।
যাহা হৈতে ঘুচে ভাই সকল যন্ত্রণা ॥
গুরু পাদ পদ্ম নিত্য যে করে বন্দন।।
শিরে ধরি বন্দি আমি তাহার চরণ ॥
শ্রীগুরুচরণ পদ্ম হৃদে করি আশ।।
শ্রীগুরু বন্দনা করে সনাতন দাস ॥
ইতি- শ্রীল সনাতন দাস বিরচিত শ্রীশ্রীগুরু বন্দনা সমাপ্ত।