শ্রীগুরুদেবের চরণের প্রার্থনা।
শ্রীগুরাে পরমানন্দ, প্রেমানন্দফলপ্রদ।
ব্ৰজানন্দ প্রদানন্দ সেবায়াং মাং নিয়ােজয়।।।
বাংলা অনুবাদ ঃ হে গুরুদেব আপনি নিত্য প্রেমানন্দের ফল প্রদায়ক এবং পরমানন্দের বিধায়ক, কৃপা করে আমাকে বৃন্দাবনের রাধাকৃষ্ণের প্রেমাআনন্দের যে সেবা সেই সেবায় নিয়ােজিত করুন।
ষােড়শােপচারে শ্রীশ্রী গুরুদেবের পূজার প্রণালী
১। ইদংআসন = গুরুবীজ বলে, তারপর হস্তমুদ্রা সহকারে শ্রীগুরুদেবের উপবেশনের জন্য একটি কমল আসন দিতে হয়।
২। ইদংস্বাগতং = গুরু বীজ বলে, তারপর প্রণাম করে শ্রীগুরুদেবকে অভ্যর্থনা জানিয়ে তার স্বাচ্ছন্দ্য বিধান করতে হয়।
৩। এতৎপাদ্যং = গুরু বীজ বলে, শ্রীগুরুদেবের শ্রীপাদপদ্ম প্রক্ষালনের জন্য জল নিবেদন করতে হয়।।
৪। এবােহর্ঘং = গুরু বীজ বলে, শ্রীগুরুদেবের হাতে অর্ঘ্য জল দিতে হয় যাতে তিনি। তার মাথায় দিতে পারে।
৫। ইদমাচমনীয়ং = গুরু বীজ বলে, শ্রীগুরুদেব জল পান করার জন্য আচমন জল
নিবেদন করতে হয়।
৬। এখােমধুপক = গুরু বীজ বলে, শ্রীগুরুদেবের জন্য একপাত্র মধুপর্ক নিবেদন
করতে হয়।
৭। ইদংপুনরাচমনীয়ং = গুরু বীজ বলে, শ্রীগুরুদেবকে আবার আচমনের জল দিতে হয়।
৮। ইদংশনীয়ং = গুরু বীজ বলে, শ্রীগুরুদেবকে স্নান করাতে হয়।
৯। ইদংবস্ত্রম্ = গুরু বীজ বলে, শ্রীগুরুদেবকে বস্ত্র নিবেদন করে তারপর সুন্দরভাবে
বস্ত্রপরিধান করে দিতে হয়।।
১০। ইদংআভরনানি = গুরু বীজ বলে, চশমা, যষ্টি, শ্রীগুরুদেবের ব্যবহার্য সামগ্রী।
নিবেদন করতে হয়।
১১। এষােগন্ধং = গুরু বীজ বলে, একটি পুষ্প দিয়ে শ্রীগুরুদেবের শ্রীচরণে চনদন।
লেপন করতে হয়।
১২। ইদং গন্ধপুষ্পং = গুরু বীজ বলে, শ্রীগুরুদেবের শ্রীচরণে পুষ্প নিবেদন করতে হয়।
১৩। এষােধূপ = গুরু বীজ বলে, ৩টা ধূপকাঠি নিবেদন করা বিধেয়।।
১৪। এষােদীপ” = গুরু বীজ বলে, ১টি প্রদীপ জেলে দিয়ে শ্রীগুরুদেবকে নিবেদন।
করতে হয়।।
১৫। ইদং নৈবেদ্যং = গুরু বীজ বলে, মহাপ্রসাদ, তাম্বুল শ্রীগুরুদেবকে নিবেদন
করতে হয়।
১৬। প্রণাম = গুরু বীজ বলে, শ্রীগুরুদেবের শ্রীচরণে প্রণাম জানাতে হয়।]