🌷নিম্নগানাং যথা গঙ্গা দেবানামচ্যুতো যথা।
বৈষ্ণবানাং যথা শম্ভুঃ পুরাণানামিদং তথা।।
অনুবাদঃ নদীগণের মধ্যে গঙ্গা, দেবগণের মধ্যে বিষ্ণু এবং বৈষ্ণবগণের মধ্যে শম্ভু(শিব) যেরুপ শ্রেষ্ঠ, সেইরুপ পুরাণগণের মধ্যে এই শ্রীমদ্ভাগবত শ্রেষ্ঠ হইয়া থাকে। (ভাগবত- ১২/১৩/১৬)
🌷পরম বৈষ্ণব শিব শ্রীপার্বতীকে বললেন,
“তমেব তপসা নিত্যং ভজামি স্তৌমি চিন্তয়ে।
অনুবাদঃ হে পার্বতী, আমি তপস্যা দ্বারা বিষ্ণুকেই নিত্য ভজনা, স্তব এবং ধ্যান করিয়া থাকি, তাহাতেই আমি জগৎপূজ্য এবং অদ্বিতীয় মহিমান্বিত হইয়াছি। (নারদপঞ্চরাত্র- ৪/৩/৪)
🌷শ্রীপার্বতী পরম বৈষ্ণব শ্রীশিবকে বললেন,
“অহো সর্ব্বেশ্বরো বিষ্ণুঃ সর্ব্বদেবোত্তমোত্তমঃ।
ভবদাদিগুরুর্ম্মূঢ়ৈঃ সামান্য ইব লক্ষ্যতে।।”
অনুবাদঃ বিষ্ণুই সকলের ঈশ্বর ও তিনিই সর্বোৎকৃষ্ট দেবতা এবং আপনার(শিব) আদিগুরু হন। অহো! মুঢ়জনেরা সামান্য বোধ করিয়া থাকে। (নারদপঞ্চরাত্র- ৪/৩/২১০)
🌷শ্রীমহাদেব বললেন,
“অকালমৃত্যুহরণং সর্ব্বব্যাধীবিনাশনম্।
বিষ্ণোঃ পাদোদকং পুণ্যং শিরসা ধারয়াম্যহম্।।”
অনুবাদঃঅকালমৃত্যনিবারক, সকল ব্যাধিনিনাশক শ্রীবিষ্ণুর পবিত্র পাদোদক মস্তকে ধারণ করিতেছি। (নারদপঞ্চরাত্র- ৪/১১/২০)
🌷পদ্মপুরাণে শ্রীশিব সতীকে বললেন,
“রাম রামেতি রামেতি রাম রামেতি রামেতি সহস্র নামাভীষ তুল্যং রামনাম বর্ণনে।”
অনুবাদঃ আমি পবিত্র নাম রাম, রাম, রাম জপ করি এবং এই মধুর শব্দটিকে উপভোগ করি। শ্রীরামচন্দ্রের এই পবিত্র নাম শ্রীবিষ্ণুর সহস্রনামের সমান।
🌷বৈষ্ণব সকল মধ্যে শিব শ্রেষ্ঠতর।
বিষ্ণুভক্ত নারদেরে কহেন উত্তর।। (বৃহদ্ভাগবত)
অতএব, শ্রী শিবজী পরম বৈষ্ণব। তিনি নিত্য পরমেশ্বর শ্রীকৃষ্ণের ভজনা ও নাম জপ করেন।