ভগবান বিষ্ণু কপিল মুনি অবতার কর্তৃক জীবের গতি সমন্ধে উপদেশ
ন তথাস্য ভবেন্মােহাে বন্ধশ্চান্যপ্রসঙ্গতঃ ।
যােষিৎসঙ্গাদ্যথা পুংসাে যথা তৎসঙ্গিসঙ্গতঃ ॥
অনুবাদ- স্ত্রীসঙ্গ এবং স্ত্রীসঙ্গীর সঙ্গ জীবের যে প্রকার মােহ ও বন্ধন সৃষ্টি করে, অন্য কোন
বস্তুর সংসর্গে সেই রকম হয় না। ( শ্রীমদ্ভাগবত ৩/৩১/৩৫)
প্রজাপতিঃ স্বাং দুহিতরং দৃষ্টা তদ্রুপধর্ষিতঃ ।
রােহিঙুতাং সােহন্বধাবদৃক্ষরূপী হতত্রপঃ ॥ ॥
অনুবাদ - ব্রহ্মা তার নিজের কন্যাকে দর্শন করে তার রূপলাবণ্যে মােহিত হয়েছিলেন,
এবং সে যখন মৃগীরূপ ধারণ করে, তখন ব্রহ্মা মৃগরূপ ধারণ করে নির্লজ্জের
মতাে তার পিছনে পিছনে ধাবিত হয়েছিলেন। ব্রহ্মা তার কন্যার রূপ-লাবণ্যে মােহিত হয়েছিলেন এবং শিব ভগবানের মােহিনী
মুর্তির দ্বারা মােহিত হয়েছিলেন। (শ্রীমদ্ভাগবত ৩/৩১/৩৬)
তৎসৃষ্টসৃষ্টসৃষ্টে কো দ্বখণ্ডিতধীঃ পুমান্ ।
ঋষিং নারায়ণমৃতে যােষিয্যেই মায়য়া ॥ ॥
অনুবাদ -ব্ৰহ্মার সৃষ্ট সমস্ত জীবের মধ্যে, যথা—মনুষ্য, দেবতা এবং পশুদের মধ্যে নারায়ণ
ঋষি ব্যতীত আর কেউই স্ত্রীরূপী মায়ার আকর্ষণের দ্বারা বিমুগ্ধ না হয়ে থাকতে
পারে না। (শ্রীমদ্ভাগবত ৩/৩১/৩৭)
বলং মে পশ্য মায়ায়াঃ স্ত্রীময্যা জয়িননা দিশা।
যা করােতি পদাক্রান্তা ভূবিজ্বম্ভেণ কেবলম্ ॥
অনুবাদ - ভগবান কপিল মুনি বললেন স্ত্রী রূপিনী আমার মায়ার প্রভাব দেখুন, যে কেবল তার ভূভঙ্গির দ্বারা এই
জগতের সর্ব শ্রেষ্ঠ বীরদের তার পদাবনত করে রাখে। (শ্রীমদ্ভাগবত ৩/৩১/৩৮)
সঙ্গং ন কুর্যাপ্রমদাসু জাতু
যােগস্য পারং পরমারুরুক্ষুঃ।
মৎসেবয়া প্রতিলক্বাত্মলাভাে
বদন্তি যা নিরয়দ্বারমস্য ॥
অনুবাদ - যিনি যােগের সর্বোচ্চ পরাকাষ্ঠা লাভ করতে চান এবং আমার সেবার দ্বারা যিনি
আত্মউপলব্ধি লাভ করেছেন, তাদের কখনই সুন্দরী রমণীর সঙ্গ করা উচিত নয়,
কারণ শাস্ত্রে 'ঘােষণা করা হয়েছে যে, ভক্তের জন্য নারী নরকের দ্বার স্বরূপ। (শ্রীমদ্ভাগবত ৩/৩১/৩৯)
যােপযাতি শনৈর্মায়া যােষিদ্দেবিনির্মিত ।
তামীক্ষেতাত্মনাে মৃত্যুং তৃণেঃ কূপমিবাবৃতম্ ॥
অনুবাদ - ভগবানের নির্মিত নারী মায়ার প্রতিনিধি, এবং যে ব্যক্তি সেবা অঙ্গীকার করে
এই মায়ার সঙ্গ করে, তার নিশ্চিতভাবে জেনে রাখা উচিত যে, তা তৃণাচ্ছাদিত
কূপের মতাে তার মৃত্যু-স্বরূপ। (শ্রীমদ্ভাগবত ৩/৩১/৪০)
যাং মন্যতে পতিং মােহান্মন্মায়ামৃষভায়তীম্ ।
স্ত্রীত্বং স্ত্রীসঙ্গতঃ প্রাপ্তো বিত্তাপত্যগৃহপ্ৰদম্ ॥ ।
অনুবাদ - জীব তার পূর্বজন্মে নারীর প্রতি আসক্ত হওয়ার ফলে, এই জন্মে স্ত্রীরূপ প্রাপ্ত
হয়েছে, এবং মােহবশত পুরুষরূপী মায়াকে সম্পদ, সন্তান, গৃহ আদির প্রদাতা
বলে মনে করে। ( শ্রীমদ্ভাগবত ৩/৩১/৪১)
তামাত্মননা বিজানীয়াৎ পত্যপত্যগৃহাত্মম্ ।
দৈবােপসাদিতং মৃত্যুং মৃগয়াের্গায়নং যথা ॥
অনুবাদ - ব্যাধের সঙ্গীত যেমন মৃগের পক্ষে মৃত্যুর কারণ, তেমনই পতি, পুত্র, গৃহ ইত্যাদিকে
ভগবানের বহিরঙ্গা শক্তির দ্বারা তার মৃত্যুর আয়ােজন বলে স্ত্রীর মনে করা উচিত। (শ্রীমদ্ভাগবত ৩/৩১/৪২)
#ekadasi24